[All links lead to Bangla-language webpages unless otherwise noted.]
The violent political crisis currently plaguing Bangladesh is having deadly consequences [en] for the country's people, who have borne the brunt of a series of politically motivated attacks in the last few weeks, such as the November 28 petrol bombing of a bus [en] full of passengers in Shahbag [en], near the center of capital Dhaka.
That attack killed three people, including a 10-year-old, and severely injured 15 others. Similar incidents around the country have claimed more than 50 lives and left 2,000 people injured [en].
The rash of violence began after Bangladesh's election commission declared at the end of November that parliamentary elections will be held on January 5, 2014. The opposition parties—Bangladesh Nationalist Party and Bangladesh Jamaat-e-Islami party—have rejected [en] the timetable, and are calling for the country's prime Minister to resign and for elections to be held under a neutral caretaker government.
The resulting protests and road blockades have at times turned violence — crude bombs have been hurled at vehicles full of passengers and train tracks have been tampered with, with deadly effects. Several opposition leaders have been arrested during the protests on different charges, but authorities have so far failed to arrest anyone directly responsible for actions that resulted in people's deaths. A number of party activists have also died during violent clashes with the police.
And everyday citizens continue to pay dearly for the discontent. In past weeks, people like Monir, Sumi, Montu Paul, Asad Gazi, Nasima Begum, Abul Quashem and others have lost their lives.
[Warning: Graphic images below]
One day of political violence is described in this Daily Prothom Alo report:
শুক্রবার ভোররাত। ঢাকা-বগুড়া মহাসড়ক। যানজটে স্থবির পাঁচ শতাধিক গাড়ি। স্থানে স্থানে ককটেল, ইটপাথর নিয়ে নির্বিচার হামলা। নারকীয় তাণ্ডব। নারী-শিশু-বৃদ্ধ—কারও রেহাই নেই। আহত শতাধিক যাত্রী।
শুক্রবার ভোররাত। ফেনীর দাগন-ভূঞায় নৈশকোচে হামলা। যাত্রীদের মারধর। টাকাপয়সা, মালামাল লুট। পেট্রল ঢেলে বাসে আগুন।
শুক্রবার রাত একটা। রাজশাহী-নওগাঁ সড়কের দেওয়ানপাড়া। ধানবোঝাই চারটি ট্রাকে আগুন। আগুন ওষুধের গাড়িতেও।
বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোটের হঠাৎ ৭২ ঘণ্টা অবরোধের খণ্ডচিত্র এটি। অবরোধের আগপাছ বিবেচনায় নেই। হামলা যেন অনিবার্য। চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড, কুমিল্লা, চাঁদপুর—অবরোধের ডাক দেওয়ার আগে রাস্তায় নামা যাত্রীবাহী বাস, মালবাহী ট্রাকের ওপর হামলে পড়ার একই চিত্র সবখানে। অপ্রস্তুত মানুষের ওপর পরিকল্পিত হামলা। মহাসড়কজুড়ে এক অবিশ্বাস্য রাজনৈতিক বর্বরতা।
Friday [29 November, 2013] early morning. Dhaka-Bogura Highway. Around 500 vehicles were stuck in a traffic jam due to a protesting road blockade. Suddenly, they were attacked by small explosive devices and bricks. Massive violence. No respite for women and children. More than 100 passengers hurt.
Friday early morning. Feni-Dagonbhuiyan night coach attacked. The passengers were beaten, robbed. The bus was torched after pouring petrol.
Friday 1 a.m. in the morning. Dewanpara at Rajshahi-Naoga Road. Four trucks containing rice were torched. A van carrying medicine was not spared.
These are the snapshots of the 72-hour blockade undertaken by the [Bangladesh Nationalist Party and Bangladesh Jamaat-e-Islami] 18-party coalition. There is no innovation in the nature of protest. Seems violence and attacks are the norm.
In places like Sitakunda, Comilla and Chandpur, it's a common scene during the blockade that a passenger bus or delivery truck are attacked indiscriminately. Planned attacks on unprepared citizens. Political barbarism on the highways.
That's only one day. Since January 1, 2013, political violence has claimed 348 lives. There have been uproar and condemnation across the country over the bloodshed. Blogger Fatema Johra wrote on Bangla blogging platform Amarblog:
মৃত্যুর মিছিল শুরু হয়েছে আমাদের দেশে।একটার পর একটা নিরীহ মানুষ যুক্ত হচ্ছে সেই মৃত্যুর মিছিলে। মাঝে মাঝে মনেহয় এই বুঝি আমিও যুক্ত হলাম সেই মিছিলে, এই বুঝি আমার স্কুল পড়ুয়া ভাইটা সেই মিছিলে হেঁটে যাচ্ছে।যতক্ষণ পর্যন্ত ভাইটা না ফেরে ততক্ষণ পর্যন্ত কান পেতে রাখি দরজায়, অপেক্ষায় থাকি কখন ও এসে বলবে- আপু, দরজা খোলো।আর অস্থির হয়ে ভাবতে থাকি ঠিক মতো ফিরবে তো ভাইটা! নাকি মনিরের মতো….আবার, হঠাৎ বাবার ফোন আসলে মনেহয়- বাবাই তো! নাকি অন্য কেউ বাবার মিছিলে যাবার খবর দিতে ফোন করল! কিন্তু যখন ফোনটা ধরে শুনতে পাই-“হ্যালো মামুনি” তখন মনটা শান্ত হয় এই ভেবে- নাহ, বাবা ভালোই আছে। কিন্তু তারপরও এক অসহ্য আতঙ্ক নিয়ে কাটাতে হয় সারাদিন,বাবা সুস্থভাবে বাড়ি ফিরবে তো!
A procession of death is marching through our country. One by one, innocent people are joining that procession. It occurs to me that I may be included in that at anytime, or my school-age brother. I anxiously wait for his return every day, wait for the call… “sister, please open the door”. I hope that he would not end up… like Monir. Again… the phone rings and I think… is it Dad… or someone else has a bad news regarding Dad.
Left-wing political leader and economist Anu Mohammad questioned how much innocent passersby should be forced to bear:
[…] দেশে জমিদারী নিয়ে রক্তারক্তি চলছে। চলছে নানা নিষ্ঠুর খেলা। প্রতিদিন মানুষ মরছে, পুড়ছে! বেশিরভাগ মানুষ শুধু বেঁচে থাকার তাগিদেই বের হয়েছিলেন রাস্তায়। কতজন পঙ্গু হচ্ছেন তার হিসাবও পাওয়া যাবে না। এতো তুচ্ছ মানুষের জীবন! এতো উচ্চ লাটসাহেবদের খাই!!
Bloody violence to secure who will rule this land. A brutal conspiracy is being played. Every day people are being burnt, being killed! Most of these people were out on the streets during the blockade to earn their bread. There is no statistics for how many are losing their limbs due to injuries. How insignificant are these lives? The powerful are so greedy!
Facebook user Shariful Hasan urged the political parties to end the animosity and leave the people out of it:
ঘেন্না হচ্ছে তাদের প্রতি যারা জনগনের নাম ভাঙ্গিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার কিংবা টিকে থাকার নোংরা রাজনীতি করেন। ঘেন্না তাদের প্রতি যারা নিজ দেশের মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে মারেন। ঘেন্না তাদের প্রতি যারা আমার এই দেশটাকে অশান্তির আগুনে পোড়াচ্ছে। মাননীয় দেশপ্রেমিক রাজনীতিবিদদের কাছে আকুতি আপনারা ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নিজেরা কামড়াকামড়ি করেন, কিন্তু সাধারণ জনগনকে দয়া করে মুক্তি দিন। আমরা একটু শান্তিতে থাকতে চাই।
I loathe those who play dirty politics with the voters to stay in power. I despise those who burn their own countrymen. I reject those who are destroying peace in our country. My petition to the patriotic politicians: Please free the citizens from your war for power. We want to live in peace.
Sardar Faruk wrote how fear now grips people on their daily commutes to work:
মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়েও অফিসে যেতে হয়। আজ সকালে বাসে উঠে সহযাত্রীদের দেখছিলাম। কারো মুখে কোনো কথা নেই, কী এক আশঙ্কায় জানালাপথে তাকিয়ে আছে। নিজেকে প্রিজনভ্যানের এক ফাঁসির আসামী বলে মনে হচ্ছিলো।
We have to run the risk of death to go to the office. I was observing my fellow passengers on the public bus this morning. Nobody was talking, but were rather looking out the window in anticipation of an unknown fear. It felt like I was a death penalty convict in a prison van.
Blogger Arif Jebtik also reiterated the fear of a bomb being hurled by the protesters:
বউয়ের কাজ ঢাকা ভার্সিটিতে, আমি যাব ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটির নির্বাচন দেখতে। একই রাস্তায় এরকম পড়লে একটু সময় এডজাস্ট করে দুজনে একসঙ্গেই যাই। আজকে সকালেও ওভাবেই রেডি হচ্ছিলাম।
বের হওয়ার ঠিক আগে বিছানায় ঘুমন্ত বাচ্চাটাকে দেখলাম। আমি বললাম, ‘তুমি আলাদা যাও, আমি আলাদা যাই।’ এই দাহকালে দুজনেই একসঙ্গে শিককাবাব হয়ে গেলে চলবে না। আলাদা আলাদা গেলে অন্তত একজন টিকে থাকতে পারবে আগামী প্রজন্মের জন্য।
My wife would go to Dhaka University campus; I would go to watch the election of the Dhaka Reporters Union. We usually go together when we have to go in the same direction. This morning was no different.
But our sleeping child caught our eyes while we were leaving. I said “let's go separately.” In this crazy time, it's not a good idea to risk being killed together. If we go separately, worst case scenario at least one of us would survive to take care of the next generation.
Blogger Lina Ferdous accused politicians of scheming to climb over dead bodies in order to hold on to power:
আর কত মানুষ পূড়লে সফল হবে এই অবরোধ…আর কত মানুষ মরলে জেগে উঠবে মনূষত্য বোধ…
এভাবে ধুকে ধুকে মরার চেয়ে আসেন সবাই একসাথে পুড়ে মরি…আমাদের চিতায় তারা সিংহাসন সাজাক…
How many men would die to make this blockade a success.. How many would die to awaken humanity?..
Instead of being burnt one-by-one, let's burn together.. Let them decorate their throne with our cremation fire…
On Twitter, Falguni Mitu asked:
How many burning bodies will satisfy them? How much blood they want to see before they stop? #JS_polls #shahbag
— Falguni Mitu (@mashamiah) November 29, 2013
Dipon Mitra and Anulikhon tweeted:
RT @AnuLikhon: অবরোধের মধ্যে ঢাকায় বাসে আগুন http://t.co/dSyGUmWeQ1 আগুন তো খালি বাসেও দেওয়া যায় , সাধারন মানুষের গোয়া মেরে লাভটা কি?
— Dipon Mitra (@light_0n) November 28, 2013
RT @AnuLikhon A bus in Dhaka has been torched http://t.co/dSyGUmWeQ1 You can also torch an empty bus, why the assault on passengers?
Blogger Sohail Jafar (@banglapress) asked the politicians to self-immolate rather than burn others:
বিএনপি নেতারাও দাবি আদায়ের জন্য নিজেদের শরীরে আগুন লাগিয়ে আত্মাহুতি দিতে পারেন… http://t.co/BPRQK6f1Et
— Soheil Zafar (@banglapress) November 12, 2013
The opposition leaders can self-immolate to get what they want….. http://t.co/BPRQK6f1Et
The opposition leaders have said in their political speechs that they are undertaking steps like blockades and strikes to establish democracy. Mahbubul Alam Shohag (@Mahaburs) [bn] criticized this point:
গণতন্ত্র মানার সময় নাই। আগে নিজেকে বাঁচাই।
— Mahabur Alam Shohag (@Mahaburs) November 30, 2013
No time for pseudo-democracy. Let us save ourselves first
Journalist J. E Mamun (@mamunzi) asked:
এর নাম গণতান্ত্রিক অধিকার? বিএনপি, আওয়ামী লীগ, জামাত-শিবিরসহ যারাই হরতাল অবরোধের নামে রেল লাইন উপড়ে ফেলা, আগুন… http://t.co/j7EthXtu9r
— Za E Maumun (@mamunzi) November 27, 2013
Is this a democratic right? The political parties which derail trains by damaging tracks, torching buses…
Journalist Shaugat Ali Sagor blames the government, writing on Facebook:
বাসে আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে,রেল লাইন উপড়ে ফেলে সারা দেশে যারা নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে, তাদের ধরতে পারছে না কেন সরকার? মানুষের জানমালের নিরাপত্তাই যদি দিতে না পারে তাহলে সরকারের অস্তিত্ব থাকে কোথায়? সন্ত্রাসীদের ধরতে না পারলে সরকারের উচিত জনগনের কাছে ক্ষমা চেয়ে ক্ষমতা থেকে সরে যাওয়া। রাজনীতির নামে এই ধরনের পৈশাচিকতা চলতে দেওয়া যায় না, চলতে দেওয়া উচিত না।
Those who are creating anarchy by burning people, uprooting railway tracks, why is the government failing to nab them? If they cannot provide the security, then what is the purpose of the government? If they cannot catch the terrorists, they should apologize and resign from power. The barbarism in the name of politics cannot continue.
Suman Kaisar asked everyday people to start protesting:
মানুষের তরে কি কেউ নেই ? সবাই কী পশুত্ববরণ করেছে? কোন দল বা প্রতিষ্ঠানের কাছে না। শুধু মানুষের কাছে দাবি জানাচ্ছি রুখে দাঁড়ান। প্রতিরোধ করুন যারা মানুষ পোড়ানোকে রাজনৈতিক কর্মসূচি বলে চালিয়ে দিতে চায়।
আপনার যতটুকু সামার্থ্য তা দিয়ে প্রতিবাদ করুন। যারা আমাদের মা-বাবা-ভাই-বোন বা স্বজনকে পোড়াচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে কিছু না কিছু করুন। নিজেকে আর কত লুকিয়ে রাখবেন? আর কিছু না পারেন ওদের বিরুদ্ধে অন্তত ঘৃণার একদলা থুথু ছিটিয়ে দিন। না কি তাও পারবেন না????
Is their no one for humanity? Have we all become animals? No groups or organizations? I urge people to take back the country. Resist those who endorse burning innocent people as a political act.
Please resist them with all your might. Those who are burning our fathers, mothers, sisters, brothers or relatives, please do something against them. How long will you be running away? If you cannot do anything, just spit on them. Can't you even do that?
Different groups and organization are arranging small protests against these attack on innocent people. A Facebook event has been created titled “Stop burning people in your war for power” by a group called Citizens Resisting Violence. They arranged a protest rally in Shahbag area on December 3, 2013.
6 comments
This is so gruesome…